ড. মো. আমিরুল ইসলাম বর্ণিল সুতোয় গাথা জীবনের বয়ান নাম তার চলন বিল। যেন এক হ্রদ। শিশু সমুদ্রও বলা যায়। পানি আর পানি। সমুদ্রের ন্যায় ক্ষুধা তার। দানও। সাদা হাতির মত তেড়ে আসে ঢেউ, আছড়ে পড়ে। দরাম দরাম ঘর ভাঙ্গে। কাত হয়ে পড়ে যায়-উপড়ে যায় গাছ। ডুবে যায় গোয়াল ঘর। কোমর পানিতে অসহায় দাঁড়িয়ে থাকে গরুর পাল। চিবিয়ে রস নেয় শুকনো খড়-হাওজা-ভাসমান কচুরি পানার। ভাঙতে ভাঙতে মুছে যায় উঠোন, ভিটেটুকুও।... Read more »
আঠারো শতকের শেষে বাংলাদেশে ভয়াবহ অরাজকতা সৃষ্টি হয়। পলাশী যুদ্ধে সিরাজদ্দৌলার পরাজয়ের পর কার্যত ইংরেজগণ বাংলার রাজনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী হন, কিন্তু ১৭৭২ সালের পূর্ব পর্যন্ত শাসনকাজের দায়িত্ব গ্রহণ করেন নাই। সম্ভবত ব্রিটিশরা তখনও বাংলার জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হননি বলেই পুতুলের ন্যায় তাদের আজ্ঞাবহ নবাবকে ক্ষমতায় বসিয়ে রাখেন। নবাব শাসন দায়িত্ব বহন করতেন কিন্তু তাঁর সামরিক ক্ষমতা বা অর্থ কোনো কিছুই ছিলো না। এজন্য জনসাধারণ তৎকালীন নবাবকে শ্রদ্ধা করতেন... Read more »
ড. মো. আমিরুল ইসলাম ইসলামি মরমিবাদকে তাসাউফ বা সুফিতত্ত্ব বলা হয়। সুফিবাদ ইসলামি দর্শনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এটি ইসলামের অন্তর্নিহিত ও অতি সূক্ষ্ম দিক। এই অন্তর্নিহিত ও সূক্ষ্ম দিক বাদ দিয়ে বাইরের দিক বা প্রাতিষ্ঠানিক ইসলাম পূর্ণতা পায় না। পৃথিবীর সকল ধর্মেই প্রাতিষ্ঠানিকতার পাশাপাশি মরমিবাদের মিশ্রণ ঘটতে দেখা যায়। এইসব ধর্মের আবহে এমন একদল লোকের আবির্ভাব ঘটে, যারা হৃদয়ের অনুভূতি দ্বারা আত্মসত্ত্বাকে লীন করে পরম সত্ত্বার সাথে মিলিত হতে চান। খ্রিষ্টীয়... Read more »
ড. মো. আমিরুল ইসলাম ১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই বিশ্ববিদ্যালয় এ বছর (2013) ষাট বছরে পদার্পণ করলো। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক ও গণতান্ত্রিক চিন্তা এবং আন্দোলনে অগ্রণী ছিল। বিশেষ করে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের সময় সা¤প্রদায়িক সংস্কৃতি ও রাজনীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের এক অঘোষিত কেন্দ্র ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। কলম্বো প্ল্যানের অনুমোনক্রমে দৃষ্টিনন্দন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নকশা প্রণয়ন করেন অস্ট্রেলিয়ার লেঃ কর্ণেল... Read more »
ড. মো. আমিরুল ইসলাম নজরুলকে নিয়ে রচিত প্রথম গ্রন্থখানি সাহিত্যিক আবুল ফজল রচিত বিদ্রোহী কবি নজরুল যা বাংলা ১৩৫৪ সনে প্রকাশিত হয়। এর আগে নজরুলকে নিয়ে পুরোপুরি কোনো গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। উক্ত গ্রন্থের প্রস্তাবনা অংশে লিখিত হয়, ‘কবি-জীবনের আরম্ভ হইতে যাঁহার একটি দিনও ব্যর্থ যায় নাই, প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে যিনি নানা সুরে নানা ছন্দে কত বিচিত্র বাণী-মূর্তির ভাঙা-গড়া করিতেছিলেন, অদৃষ্টের কি নির্মম বিধান, সেই মহা-প্রতিভা আজ তাঁহার সৃষ্টিকর্মের মাঝখানেই স্তব্ধ হইয়া... Read more »
ড. মো. আমিরুল ইসলাম বর্ণিল সুতোয় গাথা জীবনের বয়ান নাম তার চলনবিল। যেন এক হ্রদ। শিশু সমুদ্রও বলা যায়। পানি আর পানি। সমুদ্রের ন্যায় ক্ষুধা তার। দানও। সাদা হাতির মত তেড়ে আসে ঢেউ, আছড়ে পড়ে। দরাম দরাম ঘর ভাঙ্গে। কাত হয়ে পড়ে যায়-উপড়ে যায় গাছ। ডুবে যায় গোয়াল ঘর। কোমর পানিতে অসহায় দাঁড়িয়ে থাকে গরুর পাল। চিবিয়ে রস নেয় শুকনো খড়-হাওজা-ভাসমান কচুরি পানার। ভাঙতে ভাঙতে মুছে যায় উঠোন, ভিটেটুকুও। ব্যর্থ... Read more »
ড. মো. আমিরুল ইসলাম জীব জগতে মানুষের মস্তিষ্ক সবচেয়ে উন্নত বলেই সে পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত জীব। মানুষের যে ব্যাপক ক্রমোন্নতি হয়েছে তার মূল কারণ এটাই যে মানুষ তার প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করতে তার জ্ঞানকে প্রয়োগ করেছে। আধুনিক যুগে এই জ্ঞানের ভিত্তি নির্মাণ করছে বিদ্যালয় তথা স্কুল। স্কুলশিক্ষার মান উন্নয়ন হলে ‘স্বাভাবিকভাবে উচ্চশিক্ষার মান উন্নীত হতে থাকে’ -এই সহজবোধ্য কথাটি জাতিসংঘের শিক্ষা-সম্পর্কিত বিভাগ ইউনেস্কোর। বাস্তবিক অর্থেই স্কুলশিক্ষার মানই একটি দেশের কেবল... Read more »
ড. এম আমিরুল ইসলাম মানুষের জীবনধারা ও সাংস্কৃতিক গতিশীলতা পরস্পরের পরিপূরক। ভৌগোলিক অবস্থান মানুষের জীবনাচার, রীতি, চিন্তন-প্রণালি, নিয়মাবলী, বিশ্বাস-সংস্কার, উৎসব-পার্বণ, ভাষা, সাহিত্য, শিল্পকলা, মূল্যবোধ ও চৈতন্যকে প্রভাবিত করে। একটি বিশেষ অঞ্চলের আবহাওয়া ঐ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক বিকাশকে সরাসরি ত্বরান্বিত করে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের নবগঠিত রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ষোলোটি জেলা নিয়ে বরেন্দ্রভূমি গঠিত। ভৌগোলিক, নৃতাত্তি¡ক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে এ অঞ্চল স্বান্ত্র্যের দাবিদার। পুণ্ড্র নামে খ্যাত প্রাচীন এই জনপদের রাজধানীর নাম... Read more »
ড. মো. আমিরুল ইসলাম দীপ্তি ত্রিপাঠী জীবনানন্দকে ‘এক বিমূঢ় যুগের বিভ্রান্ত কবি’ বলে অভিহিত করেছেন। ‘পৌষের চন্দ্রালোকিত মধ্যরাত্রির প্রকৃতির মতো তাঁর কাব্য কুহেলীকুহকে আচ্ছন্ন। স্বভাবোক্তি অলংকার ও বাকপ্রয়োগের দেশজ রীতির মিলনে সৃষ্ট তাঁর আপাতসুবোধ্যতার অন্তরালে এক দুর্জ্ঞেয় রহস্য বিরাজিত।’ দীপ্তি ত্রিপাঠীর এই মূল্যায়নের সাথে প্রতিটি বাঙালি পাঠকই একমত পোষণ করেন নিঃসন্দেহে। জীবনানন্দ যথার্থই আধুনিক কবি। ‘আধুনিক বাংলা কবিতা’ গ্রন্থের ভূমিকায় ব্দ্ধুদেব বসু বলেছিলেন, ‘ … এই আধুনিক কবিতা এমন কোনো... Read more »
আমিরুল ইসলাম সহকারী অধ্যাপক, ফোকলোর বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিক বাংলায় নববর্ষের অনুষ্ঠানের সূচনা করেছিলেন কবি ইশ্বর গুপ্ত ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে। অর্থাৎ, বাংলা ১২৫৭ সালের ১ বৈশাখ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের কার্যক্রম শুরু হয়। তার পূর্বে বিচ্ছিন্নভাবে ঐতিহ্যগত ধারায় পারিবারিক এবং সামাজিক পরিমণ্ডলে বাঙালি এ উৎসব পালন করতো। কবি ঈশ্বর গুপ্ত সম্পাদিত সংবাদ প্রভাকর পত্রিকার ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দের এবং ১২৬০ বঙ্গাব্দের প্রথম মাসিক সংস্করণে বৈশাখ সংখ্যায় নববর্ষের অনুষ্ঠানের বিস্তারিত সংবাদ গুরুত্বসহকারে ছাপা... Read more »